এক ছো্ট্ট শহরের আদালতে এক থুরথুরে বৃদ্ধা মহিলা সাক্ষীকে সরকারী উকিল প্রশ্ন শুরু করার আগে বললেন দাদীমা, আমি হচ্ছি সরকার পক্ষের উকিল।
বৃদ্ধা বললেন- থাক তোকে আর নিজের পরিচয় দিতে হবে না। তোর মাকে আমি জন্মাতে দেখেছি। তোর মা যেমন ভাল ছিল তুই ছিলি তেমন বজ্জাত! এইটুকু বয়স থেকে তুই আমার বাড়ির আম চুরি করতিস, স্কুল পালিয়ে সিনেমা দেখতিস, মদ-গাঁজাও খেতিস শুনেছি। তোর মা এসে কত কান্নাকাটি করত তখন। এখন ভারি উকিল হয়েছিস, আর এসে বলছিস তোকি চিনি কি না? অবশ্যই চিনি হাড়ে হাড়ে চিনি।
বৃদ্ধার কথা শেষ হওয়া মাত্র আদালতে হাসির রোল পড়ে গেল। সরকারী উকিল কি বলবেন গুলিয়ে ফেলে আসামী পক্ষের উকিলকে দেখিয়ে বললেন আপনি উনাকে চেনেন?
কে? ঐ কালো কোট পরা কুদ্দুসকে? ওটাতো ছেলেবেলা থেকেই হিংসুটে ও হ্যাংলা। কারও ভাল দেখতে পারত না। তার ওপর চোর আর মিথ্যেবাদী। ওর বাপের পকেট মেরে কতবার মার খেয়েছ। স্কুলে নকল করে দু'বার ধরা পড়েছে। উকিলও নকল করে হয়েছে শুনেছি।
বৃদ্ধার কথা শেষ না হতেই আবার আদালতে হাসির রোল পড়ে গেল।
জজ সাহেব কাঠের হাতুড়ি ঠুকে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে গম্ভীর গলায় বললেন- আবার যদি কেউ সাক্ষীকে জিজ্ঞেস করেন যে উনি আমায় চেনেন কিনা? তাহলে আমি তাকে আদালত অবমাননার জন্য জেলে পাঠাব।
0 comments:
Post a Comment